ভোলায় আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও মানববন্ধন

ভোলার কথা
ভোলার কথা সম্পাদক
প্রকাশিত: ৮:১৮ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৯, ২০২৩

 

মিলি সিকদারঃভোলায় বাসের ধাক্কায় হালিমা খাতুন মহিলা মহাবিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী শিখা আক্তার ও রিমা বেগম নিহত হওয়ার ঘটনায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

রবিবার (১৯ মার্চ) সকালে ভোলার বাংলাবাজার এলাকায় হালিমা খাতুন মহিলা মহাবিদ্যালয়ের সহস্রাধিক শিক্ষার্থী রাস্তার দুই পাশ অবরোধ করে মানববন্ধন করেন। তাঁদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে মানববন্ধন অংশগ্রহণ করেন স্থানীয় অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ও শিক্ষকরা। মানববন্ধন শেষে দাঁড়ায় এটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। বিক্ষোভকারীরা নিহতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ ও ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিচার এবং নিরাপদ সড়কের দাবি করেন।

বিক্ষোভ মিছিল থেকে আন্দোলনকারীরা জানান, পুলিশ বাদী হয়ে ড্রাইভার, সুপারভাইজার ও সহকারীকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন বলে জানতে পেরেছি। মামলায় বাসের স্টাফদের আসামী করা হয়। পুলিশ ড্রাইভারকে আটক করে আদালতে পাঠিয়েছে। আমাদের প্রশ্ন হল, বাস মালিক কে এবং মালিক সমিতিকে কেন মামলার আসামি করা হয়নি। প্রত্যেকটি ঘটনার পর এভাবে বাস মালিক ও বাস মালিক সমিতিকে বাদ দিয়ে দেওয়ার কারণে আজ পর্যন্ত ভোলা চরফ্যাশন আঞ্চলিক মহাসড়কে যতগুলো এক্সিডেন্ট হয়েছে। যত মানুষ মারা গিয়েছে তার কোনটির সঠিক বিচার পাওয়া যায়নি। তারা অনতিবিলম্বে বাস মালিক ও বাস মালিক সমিতির কতৃপক্ষকে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান। অন্যথায় সামনের দিনগুলোতে আরো কঠোর কর্মসূচি নিয়ে রাস্তায় নামার হুমকি দেন।

দীর্ঘ সময় ধরে চলা এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ পরে কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে বেলা ১২ টা ৩০ মিনিটের দিকে শিক্ষার্থীরা সড়ক থেকে অবরোধ তুলে নেন।

উল্লেখ্য গত শুক্রবার সকালে ওতোরউদ্দি নামক স্থানে বাসের চাপায় দুই শিক্ষার্থীসহ তিনজন নিহত হন। আহত হন বোরাক ড্রাইভার। ঘটনার পর আশপাশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করেন।

প্রত্যক্ষদর্শী জানান, যাত্রীবাহী বাসটি রাস্তার উল্টোদিক দিয়ে গিয়ে বোরাককে চাপা দিলে ঘটনাস্থলে তিনজন নিহত হয়। নিহত শিখা ও রিমার বান্ধবী লিজা আক্তার বলেন, ওরা দুজন আমাদের কলেজের ইন্টারমিডিয়েট দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। গত শুক্রবারে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানে জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বাসা থেকে কলেজের উদ্দেশ্য রওয়ানা দেন। পথিমধ্যে ঘাতক বাস উল্টো দিক থেকে এসে চাপা দেয়। আমরা এই হত্যাকাণ্ডের বিচারসহ নিহতের পরিবারের ক্ষতিপূরণ এবং নিরাপদ সড়ক চাই।

হালিমা খাতুন মহিলা মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ নুরে আলম নিহত শিক্ষার্থীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে একদিনের শোক দিবস পালন করেন। শিক্ষার্থীদের যে যুক্তিক আন্দোলন তার সাথে তিনি একাত্মতা প্রকাশ করেন এবং ক্ষতিপূরণ চেয়ে বিচারের দাবি করেন।